HomeHISTORY & ISLAM

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) মক্কার ফিহর বা কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় কুরাইশ বংশ ছিল আরব সমাজে সবচেয়ে প্রভাবশালী। সৌদি আরবের মক্কা নগরীর কুরাইশ

50 English Grammar MCQ Questions for the Test
Scholarship: Deanship of Graduate Studies in Saudi Arabia
সাম্প্রতিক বাংলাদেশ নিয়ে ৩০ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
Share Please

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) মক্কার ফিহর বা কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় কুরাইশ বংশ ছিল আরব সমাজে সবচেয়ে প্রভাবশালী। সৌদি আরবের মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রের বনি হাশিম গোত্রে জন্ম এই সমগ্র বিশ্বের মানবতার দূত, আল্লাহ প্রেরিত নবী ও রাসূল এর। আল্লাহ তালা তার সৃষ্টিকুলের মানব জাতীর জন্য পথ প্রদর্শক হিসেবে তাকে প্রেরন করেন।

বিশ্ব নবী (স) এর বংশ পরিচয়

  • বংশঃ কুরাইশ
  • দাদার নামঃ আবদুল মুত্তালিব
  • আবদুল মুত্তালিব এর ঘরে জন্ম নেওয়া সন্তানদের নামঃ

১. আল হারেস
২. ৬ জন অন্যান্য পুত্র
৩. আবু তালেব
৪. যোবায়ের
৫. আবদুল্লাহ
৬. হামজাহ
৭. আবু লাহাব
৮. আব্বাস
৯. ৬ কন্যা

  • আবু তালেবের ঘরে জন্ম নেওয়া দুই পুত্রের নামঃ

১. জাফর
২. আলী

  • পিতা আব্দুল্লাহ ও মাতা আমিন ঔরষে জন্ম-

হযরত মুহাম্মদ (স)। আখেরী নবী, আলোর দিশারী, শেষ বিচারের দিন শাফায়াতকারী। প্রিয় নবী মা আমেনা ও পিতা আব্দুল্লাহর ঘরে ৫৭০ খ্রীঃ জন্মগ্রহণ করেন। নবীজীর নানার নাম ‘ওহাব বিন আবদে মানাফ‘।

আরো পড়ুন
বাংলাদেশের ১৭ টি জি আই পন্য (GI) (ভৌগোলিক নির্দেশক) পরিচিতি

হযরত মুহাম্মদ (স) এর জীবনী

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর পিতা আব্দুল্লাহ ৫৪৫ খ্রীঃ জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আবদুল্লাহ ওহাব বিন আবদে মানাফ এর কন্যা আমেনা কে বিয়ে করেন ৫৬৯ খ্রীঃ।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স)

জন্ম

৫৭০ খ্রীঃ মহানবী (স) এর জন্মের সময় ঐ বছরই পিতা আব্দুল্লাহ মৃত্যুবরণ করেন। মায়ের গর্ভে থাকাকালীন তিনি পিতৃহারা হন। একই সালে, ২৯ আগস্ট মতান্তরে ৯ রবিউল আওয়াল নবীজীর জন্ম। অনেকের মতে ১২ই রবিউল আওয়াল। এ তারিখটি নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। মহানবীর জন্মের ৭ দিন পর আকিকা ও নাম রাখা হয়। জন্মের পর চাচা আবু লাহাবের দাসী সুয়াইবার দুধ পান করেন। মহানবীর প্রতিপালনের দায়িত্ব পান হালিমা। প্রিয় নবীর বয়স যখন ২ বছর তখন তাকে আবার মা আমেনার নিকট ফেরত দেওয়া হয় তবে, সে সময় মক্কায় মহামারি থাকার কারনে আবার নবীকে দুধ মাতা হালিমার নিকট প্রেরন করা হয়।

মহানবীর বক্ষ বিদীর্ণকরণ

৫৭৪ খ্রীঃ প্রিয় নবীর বয়স যখন ৪ বছর তখন প্রথম বক্ষ বিদীর্ণকরণ হয়। সেসময় তিনি দুধ মাতা হালিমার নিকট পালিত হচ্ছিলেন। মুহাম্মদ (স) এর বয়স যখন ১০ বছর তখন ৫৮০ খ্রীঃ পুনরায় দ্বিতীয় বারের মত বক্ষ বিদীর্ণকরণ হয়।

হযরত মুহাম্মদ (স) এর বয়স অনুযায়ী বর্ণনা

  • ৫ বছর বয়সঃ এ সময় ৫৭৫ খ্রীঃ তিনি হালিমার ঘর থেকে মা আমেনার ঘরে প্রত্যাবর্তন করেন।
  • ৬ বছর বয়সঃ ৫৭৬ খ্রীঃ বছরের শেষের দিকে প্রথম মায়ের সাথে মদিনায় গমন করেন। একই বছর ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান (রা) এর জন্ম হয়। তিনি নবীজীর জামাতা ছিলেন।
  • ৭ বছর বয়সঃ মায়ের সাথে মদিনা থেকে মক্কায় ফেরার পথে মদিনার নিকট আবওয়া নামক স্থানে মা আমেনার মৃত্যু হয়। ৫৭৭ খ্রীঃ মহানবী মা হারিয়ে একেবারে এতিম হয়ে যান। মায়ের মৃত্যুর পর দাসী ‘উম্মে আয়মান’ এর সাথে মক্কায় ফেরত আসেন।
  • ৮ বছর বয়সঃ ৫৭৮ খ্রীঃ নবীজীর বয়স যখন ৮ বছর ৬মাস ১০ দিন তখন দাদা আবদুল মুত্তালিব মৃত্যুবরণ করেন।
  • ১৪ বছর বয়সঃ মহানবীর ১৪ বছর বয়সে কুরাইশ ও বনু কেনানা গোত্রের সমর্থনে বিখ্যাত ‘ফুজ্জারের যুদ্ধে’ (ফিজার) অংশ গ্রহণ করেন। যুদ্ধে অপর পক্ষে ছিল গাতাফান ও কায়েস আয়লান গোত্র। মক্কা ও তায়েফের মধ্যে সংগঠিত হয়েছিল এই যুদ্ধ।
  • ১৭ বছর বয়সঃ এ সময় তিনি হিলফুল ফুযুল নামক শান্তি সংঘ প্রতিষ্ঠা করেরন ও যোগ দেন। এটি ইতিহাসের প্রথম সংঘ। এই সংগঠনের কাজ ছিল দরিদ্রদের সাহায্যদান, দুস্থদের আশ্রয়দান ও অসহায়দের সহায়তা করা। এই সংঘের প্রভাবে সেসময় মক্কা অনেক বিপর্যয় থেকে রেহাই পায়।
  • ২৫ বছর বয়সঃ ২৫ বছর বয়সে মুহাম্মদ (স) খাদিজা (রা) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এর আগে খাদিজা (রা) এর সাথে পরিচয় হয় ও তার ব্যবসায় পরিচালনার দায়িত্ব নেন।

খাদিজা (রা) এর সাথে বিবাহ

উম্মুল মুমিনীন খ্যাত খাদীজাতুল কুবরা (রাঃ) এর সাথে আমাদের প্রিয়নবী ২৫ বছর বয়সে ৫৯৫ খ্রীঃ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২৩ বছর বয়সে প্রথম মহানবীর সাথে পরিচয় ঘটে সে সময়ের মক্কার ধনি ব্যবসায়ী খাদিজার সাথে। নবীজীর নবুওত প্রাপ্তির পর এই মহীয়সী নারী সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। মহানবীর সাথে বিবাহের সময় খাদিজা (রা) এর বয়স ছিল ৪০ বছর। প্রায় ১৫ বছর সংসার করেছিলেন তিনি নবীজীর সাথে। তিনি মুহাম্মদ (স) এর প্রথম স্ত্রী ও বিবি খাদিজা নামে সমদিক পরিচিত। জীবদ্দশায় জান্নাতের সুঘ্রাণ ও খবর পাওয়া মহিয়সী নারী হলেন বিবি খাদিজা (রা)।

মহানবী (স) এর সততা ও বিশ্বস্ততা দেখে ব্যবসায় পরিচালনার ভার দিয়েছিলেন তিনি। মহানবীর সাথে বিয়ের পূর্বে তিনি বিধবা ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ি ছিলেন। নবীজীর পবিত্র চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দেখে খাদিজা (রাঃ) বিয়ের প্রস্তাব দেন ও তাতে সম্মতি দেন। খাদিজা (রাঃ) কে তার পবিত্রতার জন্য “তাহিরা” উপাধিতে ডাকা হতো।

  • ৩০ বছর বয়সঃ এ সময় মহানবী (স০ এর বড় কন্যা জয়নবের জন্ম হয়। ৬০০ খ্রীঃ তিনি আল আমিন উপাধি লাভ করেন। আলআমিন অর্থ সত্যবাদী।
  • ৩৫ বছর বয়সঃ কাবা ঘর সংস্কার ও সবচেয়ে মুল্যবান পাথর “হাজরে আসওয়াদ” পুনস্থাপন করেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর সংক্ষিপ্ত জীবন

হযরত মুহাম্মদ (স) এর নবুয়ত

মহানবী (স) এর বয়স যখন ৪০ বছর তখন সাল টি ছিল ৬১০ খ্রিঃ। সেইসময় হেরা গুহায় ধ্যান করতেন তিনি। হেরা গুহা মক্কা থেকে প্রায় সারে চার কিলোমিটার দূরে জাবালুননূর যাকে মাউন্ট অব লাইট পর্বত বলে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) সে সময় ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে লোকদের সত্য বলা, সততা বজায় রাখা সুন্দর আচরণ, মহৎ চরিত্র, সৎ চিন্তা ও আরো অনেক প্রশংসনীয় গুণাবলীতে ভূষিত ছিলেন।

২৭ শে রমযান (সোমবার) ৬১০ খ্রীস্টাব্দের ১ লা ফেব্রুয়ারি তারিখে রাসূল (স) হেরা গুহায় স্রষ্টার সান্নিধ্যের জন্য মগ্ন ছিলেন। এভাবে হেরা গুহায় ইবাদতে মশগুল থাকা কালে হঠাৎ একদিন তার নিকট আল্লাহর ফিরেশতা জিব্রাঈল (আ) এসে আত্মপ্রকাশ করলেন এবং বলতে লাগলেন -“পড়ুন” ।

নবী বললেন, -আমি পড়তে জানি না। । রাসূল (স) বলেন, আমি যখন ফেরেশতাকে একথা বললাম তখন তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরলেন, তার কঠোর চাপে আমি কষ্ট অনুভব করতে লাগলাম ।” অতঃপর আমাকে ছেড়ে দিয়ে পুনরায় বললেন ।। -‘পড়ুন’। আমি পুনরায় সেই উত্তরই প্রদান করলাম- আমি পড়তে জানি না ।” তখন তিনি পুনরায় সেই কাজ করলেন এবং আমাকে ছেড়ে দিয়ে তৃতীয়বার সেই প্রথম বাক্যটি পুনরাবৃত্তি করলেন । আমি এবারেও সেই পূর্বের উত্তর প্রদান করলাম । মোট কথা, তিনবার এ কথোপকথন এর পরে চতুর্থবার সূরা (ইকরা) এর কয়েকটি আয়াত পাঠ করলেন ।

Computer History: Update Timeline

তখন নবী করীম (স) সেই আয়াতগুলোকে পুনরাবৃত্তি করলেন এবং তা তার অন্তরে বসে গেল । অতঃপর যখন তিনি হেরা পাহাড়ের গুহা হতে বের হয়ে এলেন, তখন তাঁর অবস্থা এরূপ ছিল যে, ওহী’র ভারে অন্তর কাঁপছিল । তিনি ঘরে প্রবেশ করেই বললেন, “আমাকে চাদর জড়িয়ে দাও!” বিবি খাদিজা (রা) তৎক্ষণাত তাঁর গায়ের উপর চাদর জড়িয়ে দিলেন। যখন তিনি একটু শান্ত হলেন তখন বিবি খাদিজাকে সমুদয় ঘটনা বর্ণনা করে শুনালেন । অতঃপর বললেন -“আমার প্রাণের ভয় করছে।” তখন খাদিজা (রা) শুনে রাসূল (স) কে আরয করলেন, আল্লাহর কসম! আল্লাহ তালা কখনো আপনাকে অপমানিত করবেন না। কেননা, আপনি আত্মীয়তার হক পালন করেন, মেহমানদের মেহমানদারী করেন, অসহায়দের সহায়তা করেন, অভাবগ্রস্থদের জীবিকা নির্বাহের উপায় করে দিয়ে থাকেন।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর পুত্র ও কন্যা

বিবি খাদিজা (রা) এর গর্ভে মহানবীর দু পুত্র ও চার কন্যা জন্মগ্রহণ করেন। দু পুত্র যথাক্রমে
(১) কাসিম
(২) আবদুল্লাহ
চার কন্যা হলেন
(১) জয়নাব
(২) রুকাইয়া
(৩) উম্মে কুলসুম
(৪) ফাতিমা (রা)
রাসূল (স) এর অন্য স্ত্রী মারিয়া কিবতিয়া (মরিয়ম) এর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন পুত্র ইব্রাহীম। দুই পুত্রের মধ্যে কাসিম ২ বছর বয়সে ও আবদুল্লাহ শৈশবে মহানবীর নবুয়ত পাওয়া পূর্বেই ওফাতপ্রাপ্ত হন। আরেক পুত্র ইব্রাহীমও ১৬ মাস বয়সে ইন্তেকাল করেন।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর সংক্ষিপ্ত জীবন

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর কন্যাদের বিবাহ

  • জৈষ্ঠ কন্যা জয়নবকে খাদিজা (রা) এর ছোট বোন হালার পুত্র আবুল আস বিন রাবিবিন এর সাথে বিবাহ দেন। জয়নবের এক মেয়ে ছিল তার নাম ছিল উমামা। জয়নব অষ্টম হিজরীতে ইন্তেকাল করেন।
  • রাসূল (স) এর ২য় কন্যা রুকাইয়ার বিবাহ হয় উৎবা এর সঙ্গে। উৎবা ছিল আবু লাহাবের পুত্র। নবীজী ধর্ম প্রচার শুরু করলে আবু লাহাব তার পুত্রকে রুকাইয়াকে পরিত্যাগ করতে বাধ্য করেন। পরবর্তিতে রুকাইয়ার বিবাহ হয় ওসমান (রা) এর সাথে।
  • রাসূল (স) এর ৩য় কন্যা উম্মে কুলসুম এর বিবাহ হয় উতাইবার সাথে। উতাইবাও ছিল আবু লাহাবের পুত্র। রাসূল (স) ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করলে আবু লাহাব তার এ পুত্রকে রুকাইয়াকে পরিত্যাগ করতে বাধ্য করেন। পরবর্তিতে কুলসুম এর বিবাহ হয় ওসমান (রা) এর সাথে। উম্মে কুলসুম ৯ম হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন।

    দুই মেয়ে কুলসুম ও রুকাইয়ার বিবাহ হয় ওসমান (রা) এর সাথে। ২য় হিজরীতে বদর যুদ্ধ চলাকালীন ১৭ই রমযান রুকাইয়া মৃত্যুবরণ করেন। রাসূল (স) নিজ হাতে এ কন্যাকে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করেন। ওসমান (রা) রুকাইয়ার মৃত্যুর পর কুলসুমকে বিবাহ করেন।
  • চতুর্থ কন্যা ফাতিমা (রা) এর বিবাহ হয় হযরত আলী (রা) এর সাথে। সেসময় ফাতিমা (রা) এর বয়স ছিল ১৫ বছর ৫ মাস ১৫ দিন। ২য় হিজরীর সফর মাসে তাদের বিবাহ হয় ও যিলহজ্জ মাসে রসূমত হয়। ফাতিমা (রা) জন্মগ্রহণ করেন ৬০৯ খ্রীঃ ও ৬৩২ খ্রীঃ মাত্র ২৩বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন

Share Please

COMMENTS

WORDPRESS: 1
  • comment-avatar

    Hi would you mind stating which blog platform you’re using?

    I’m looking to start my own blog soon but I’m
    having a hard time making a decision between BlogEngine/Wordpress/B2evolution and Drupal.

    The reason I ask is because your layout seems different then most
    blogs and I’m looking for something completely unique.

    P.S My apologies for being off-topic but
    I had to ask!